অনলাইনে জিডি করার নিয়ম,,,

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম কানুন জেনে নিন


ডায়েরি (জিডি) করতে এখন আর থানায় গিয়ে আবেদনপত্র লিখতে হবে না। ঘরে বসে অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আপনি নিজেই করতে পারেন সাধারণ ডায়েরি। আপনার দলিল, সার্টিফিকেট, পরিচয়পত্র ইত্যাদি হারানো, চুরি, ছিনতাই সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে বাসায় বসেই নিরাপদে অনলাইনে জিডি করতে পারেন। শুরুতে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটনের সব থানার আওতায় বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। পাসপোর্ট, ব্যাংকের চেক বই, সার্টিফিকেটসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ দলিল হারিয়ে গেলে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি করা যাবে। এ ছাড়া বখাটে, মাদকসেবী বা অপরাধীদের আড্ডাস্থল বা অন্য কোনো অবৈধ সমাবেশ সম্পর্কিত অভিযোগ অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে।

যেভাবে জিডি করবেন

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট http://www.dmp.gov.bd ঠিকানায় প্রবেশের পর প্রধান পৃষ্ঠার ব্যানারের নিচেই দেখতে পাবেন Citizen Help Request নামের একটি ট্যাব। এই ট্যাবে ক্লিক করলে চলে আসবে আলাদা একটি পাতা। পাতার শুরুতেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি নিয়ে কিছু বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। নিচের অংশে রয়েছে তথ্য দেওয়ার তালিকা। এই তালিকা থেকে আপনি যে ধরনের সাধারণ ডায়েরি করতে চান তা নির্বাচন করুন। নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী পাতায় আপনি পাবেন ডায়েরি করার ফরম। ফরম পূরণের শুরুতে আপনি যে থানায় ডায়েরিটি করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার নাম, ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি পূরণ করে Submit বাটনটি ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে যাবে আপনার তথ্য। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি একটি শনাক্তকরণ নম্বর ও থানা থেকে কবে ডায়েরি সংক্রান্ত সত্যায়িত কাগজটি সংগ্রহ করবেন তার সময় জানতে পারবেন। নম্বরটি সংরক্ষণ করুন। কারণ থানা থেকে আপনার সাধারণ ডায়েরির সত্যায়িত কপিটি সংগ্রহ করতে পরে নম্বরটির প্রয়োজন পড়বে।

তথ্য ও পরামর্শ
অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ ও তথ্যের জন্য bangladesh@police.gov.bd ঠিকানায় মেইল পাঠাতে পারেন। অথবা ফ্যাক্স করতে পারেন ০২-৯৫৫৮৮১৮ নম্বরে।


সংগ্রহ: ইন্টারনেট।

ফার্মাসিস্ট হিসেবেও ক্যারিয়ার গড়তে পারেন


 সময়ের সাথে সাথে নানা ধরনের পেশার
 সুযোগের পরিবর্তন ঘটে। আজ থেকে দশ বা বিশ বছর আগে যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করলে কাজের সুযোগ বেশি ছিল, এখন আর সেসব পেশায় কাজের সেই সমান সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করলে কাজের সুযোগ একটু বেশি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ফার্মেসি।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরের সময়টা একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। কেননা, এই সময়ের পরেই একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হয়ে যায় আর তাতেই নির্ধারণ হয়ে যায় তার ক্যারিয়ারের পথ। এ জন্য ক্যারিয়ার গঠনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা থাকা আবশ্যক। যেমন, মনের মতো ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কোথায় কোন বিষয়ে ভর্তি হতে হবে, ভর্তির যোগ্যতা, ফলাফল, ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া ইত্যাদি। আর পড়াশোনা শেষে দেশ-বিদেশে চাকরির সুযোগ আছে কি না, সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বেতন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন, এসব বিষয়কেও বিবেচনায় রাখতেই হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও সম্মৃদ্ধ। 
বাংলাদেশ এখন ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পন্ন এবং ক্রমবর্ধমান এ শিল্পের মূল চালিকা ফার্মাসিস্টদের হাতে। এ দেশে বর্তমানে আড়াইশ'র বেশি ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি সক্রিয়। এসব কোম্পানি দেশের চাহিদা পূরণ করে আর্ন্তজাতিক বাজারেও ওষুধ রপ্তানি করছে। এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা, গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো আছেই।

বাংলাদেশের ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে কর্মরত আছে। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল (পিবিসি)-এ রেজিস্টার্ড ২৩০০ ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে মাত্র ১,০০০ জন আমাদের দেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কর্মরত আছে। আর বাকি প্রায় ১৩০০ জন ফার্মাসিস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঔষধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রি কাজ করে যাচ্ছে। এদের শতকরা ৬৩ ভাগ আবার আমেরিকাতে কাজ করছে। ফার্মাসিস্টরা ড্রাগ এক্সপার্ট। তারা ড্রাগ কনসালটানট হিসেবেও কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে ফার্মেসি শিক্ষা সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে নতুন ধারার পেশাভিত্তিক শিক্ষার যুগোপযোগী বিষয়ের আর্বিভাব ঘটায়। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ পরবর্তীতে তিনটি বিভাগে বিভক্ত হয় এবং গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদ হিসেবে। তারপর প্রায় ২৩ বছর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়নি। ১৯৮৭ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে স্নাতক কোর্স চালু হয়।

ফার্মাসিস্টদের কাজের মধ্যে রয়েছে ঔষধ গবেষণা, প্রস্তুত, মান নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বিপনণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজ। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ঔষধের ফর্মুলেশন, উত্পাদন, ঔষধের মান উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা চাকরি করে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিংয়ে তাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ঔষধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চ পদে ফার্মাসিস্টরা চাকরি পেতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট পদে, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মেসি ম্যানাজার ছাড়াও প্রশাসনিক ও তথ্য বিভাগে এদের কাজের সুযোগ রয়েছে। আবার যারা শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত থাকতে চান, তারা শিক্ষকতা, গবেষণা, স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশাসনিক দপ্তরেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

ফার্মাসিস্ট হতে হলে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি ফার্মেসি কোর্স (বি ফার্ম) ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে। এরপর এক বছর মেয়দি মার্স্টাস (এম ফার্ম) কোর্স করার সুযোগও রয়েছে। এ জন্য ফার্মেসি কোর্স চালু আছে এমন সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। সরকারি বিশ্বদ্যািলয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্বদ্যািলয়, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ পনেরটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান থেকে অবশ্যই ভালো ফলাফল থাকতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষার কঠিন যুদ্ধে উত্তীর্ণ হওয়ার পালা।

ফার্মেসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি বি ফার্ম শেষে যেকোনো ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানিতে এক মাসের ইন্টার্নি সম্পন্ন করতে হয়। এরপর বাচাই পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি মিলবে।

উল্লেখ্য, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি না নিলে ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশ কর্তৃক প্রফেশনাল সনদপত্র পাওয়া যাবে না।

ক্যারিয়ার গড়ুন ব্যাংকিং এ



একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ব্যাংকের অবদান অপরিসীম। ইংরেজীতে একটা কথা আছে, ‘The economic structure of a country depends on the banking system of the country’- অর্থাৎ ব্যাংক-ব্যবস্থার ওপর একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো নির্ভর করে।। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন ‘বিশেষায়িত ব্যাংক’, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক’ ও ‘প্রাইভেট ব্যাংক’। প্রতিযোগিতার এই যুগে ব্যাংকসমূহের মোট সংখ্যা ৫৫ ছাড়িয়েছে, এবং প্রত্যেক বছরই ব্যাংকগুলোর শাখা বিস্তৃত হচ্ছে। ব্যাংকের চৌকস বেতন-ভাতাদি, সুযোগ-সুবিধা, চাকুরির নিরাপত্তা এবং সামাজিক মর্যাদা থাকার কারণে এ পেশার প্রতি তরুণদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
ব্যাংকের কাজ
‘ব্যাংকের প্রধান কাজই হলো আমানত সংগ্রহ করা এবং সেই সংগৃহীত অর্থ ঋণস্বরূপ প্রদান করা’। এই সংজ্ঞা থেকে বোঝা যায় যে, একটি ব্যাংক মূলত আমানত গ্রহণ, ঋণ দান, এবং চেক প্রচলন করে থাকে। এছাড়া দেশি-বিদেশি বাণিজ্যের অর্থনৈতিক লেনদেন-এ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানও ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ব্যাংকে কাজের ক্ষেত্র
আধুনিক ব্যাংকে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে প্রধানত চারটি শাখা আছে। শাখাগুলোর কার্যপরিধি সংক্ষেপে এখানে উপস্থাপন করা হলো :
১. অপারেশন শাখা: সাধারণত এই শাখা আর্থিক প্রশাসন বিভাগ, অবকাঠামো বিভাগ, সফটওয়্যার বিভাগ, বিভিন্ন শাখা তদারকি বিভাগ, মানব সম্পদ বিভাগ,এবং মার্কেটিং বিভাগের কাজ সম্পাদন করে থাকে। 

২. ইনভেস্টমেন্ট শাখা: ব্যাংকের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ভোক্তা বিভাগ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিনিয়োগ নীতি ও পরিকল্পনা বিভাগ এবং মনিটরিং বিভাগের কাজ এই শাখা সম্পাদন করে থাকে।

৩. ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং শাখার: এই শাখার উল্লেখযোগ্য বিভাগগুলো হলো বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা বিভাগ, গার্মেন্টস বিভাগ, রাজস্ব তহবিল ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্স বিভাগ।

৪. ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স শাখা: সাধারণত মনিটরিং বিভাগ, কমপ্লায়েন্স বিভাগ এবং অডিট ও তত্ত্বাবধান বিভাগের মাধ্যমে এই শাখার কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

ট্রাভেল এজেন্সিতে ক্যারিয়ার গড়ুন,,,



বাংলাদেশে চাকরির বাজারে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়াও চাকরির বাজারে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে চাই চাকরির বাজার এবং চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা। বাংলাদেশে চাকরি প্রার্থীদের একটি ভুল ধারণা রয়েছে। আর তা হলো উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেই যেকোনো চাকরির জন্য যোগ্য হিসেবে দাবি করা যায়। তবে এটি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নয়। মূলত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কাজ পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে প্রায় ২২০০টি ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সির আকার এবং কাজের পরিধির উপর নির্ভর করে ছোট বা মাঝারি মানের ট্রাভেল এজেন্সিতে ১৫ থেকে ২০ জন এবং বৃহত্ কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী ট্রাভেল এজেন্সিতে ৫০ থেকে ৮০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করে থাকে।
রিজার্ভেশন অফিসার
ট্রাভেল এজেন্সির কাজ বলতে অনেকেই আমরা শুধু প্লেনের টিকিট রিজার্ভেশনের কাজ করাকেই বুঝে থাকি। একজন ভ্রমণকারীর প্রয়োজনানুসারে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট রিজার্ভেশন, কনফার্মেশন অথবা বাতিল করার কাজ করে থাকে ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ট্রাভেল এজেন্সিতে যে ব্যক্তিবর্গ করে থাকেন তাদেরকে বলা হয়ে থাকে টিকেট রিজার্ভেশন অফিসার। যেকোনো ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকেট রিজার্ভেশন অফিসারের দায়িত্ব অনেক। মূলত তাদের নিকট হতেই ট্রাভেল এজেন্সিতে আগত ব্যক্তিবর্গ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো এয়ারলাইন্সের টিকিট সংগ্রহ করে থাকে। ট্রাভেল এজেন্সির অফার এবং ব্যবসায়িক কর্মপরিধির উপর ভিত্তি করে ছোট বা মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকিট রিজার্ভেশন অফিসার থাকেন ৫ জন থেকে ১৫ জন। সেই হিসেবে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী আনুমানিক ২২০০ ট্রাভেল এজেন্সিতে এই পেশাতে বিপুল পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আবার নতুন নতুন এয়ারলাইন্স চালু হওয়ায় এই সেক্টরে আরও বেশি জনবলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ফলে এই পেশাতে দক্ষ জনবলের বেশ অভাব রয়েছে।

এই পেশাতে আসতে হলে একজন ব্যক্তির খুব বেশি উচ্চশিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিসহ টিকেটিং এবং রিজার্ভেশন সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকেট রিজার্ভেশনে ব্যবহূত সফটওয়্যার সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে। আর জন্যই প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রফেশনাল ডিগ্রি অর্জন। বাংলাদেশে ট্রাভেল এজেন্সির প্রশিক্ষণ অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রদান করে থাকে। তবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং বিমান বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদেয় ট্রেনিং প্রোগ্রামটি একজন ব্যক্তিকে ট্রাভেল এজেন্সি শিল্পে দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্রশিক্ষণটির নাম হলো ‘ট্রাভেল এজেন্সি অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর’। ১৮ সপ্তাহব্যাপী এই কোর্সটি করতে একজন ব্যক্তিকে ন্যূনতম এইচএসসি উত্তীর্ণ হতে হবে। এই প্রশিক্ষণ কোর্সে যেসব বিষয় শেখানো হয়, তা হলো—
১. আইএটিএ কনফারেন্স এরিয়া
২. আন্তর্জাতিক ট্রাভেল জিওগ্রাফি সম্বন্ধে বিশদ শিক্ষা
৩. বিভিন্ন ট্যুরের খরচ সম্পর্কিত তথ্য
৪. ট্যুর অপারেশনের সময় টুরিস্টদের মূল্যায়ন
৫. বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির কার্যপদ্ধতি
৬. ট্রাভেল ম্যানুয়েলের ব্যবহার
৭. টিকিটের মূল্য এবং টিকেটিংয়ের কর্মপদ্ধতি
৮. ইংরেজি ভাষার উপর প্রশিক্ষণ
৯. রিজার্ভেশন অফিসারের দক্ষতা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ
১০. ট্রাভেল এজেন্সি অপারেশনস ও ম্যানেজমেন্টের ধারণা
এর বাইরেও ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পদ রয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা গ্রহণ করে এসব পদে যোগ দিয়ে ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। এ রকম কয়েকটি পেশা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরা হলো।

ট্যুর ম্যানেজার
প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো স্থানে ট্যুর পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাই, প্ল্যানিং, খরচ এবং লিয়াজো মেইন্টেইন করা ট্যুর ম্যানেজারের দায়িত্ব। ট্যুর ম্যানেজার ট্যুরে অংশ নেন না। কিন্তু ট্যুরের সমস্ত লাভ-লোকসানের দায়িত্ব তাকে বহন করতে হয়।
ট্যুর অপারেটর
ট্যুর অপারেটরের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত প্যাকেজ ট্যুরের সাথে সম্পৃক্ত থাকা। একজন ট্যুর অপারেটরের ট্যুর সংক্রান্ত যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে চলার ক্ষমতা থাকতে হয়। ট্যুর অপারেশন পরিচালনাকারী হিসেবে তার উপর সমস্ত দায়িত্ব অর্পিত হয়। ন্যূনতম গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারী যে কেউ ‘ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম’ কোর্সটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে এ পেশাতে আসতে পারে।
ট্যুর গাইড
পদের নামের সাথেই এই পেশার কাজের পরিধি চিহ্নিত করা যায়। মূলত ট্যুর পরিচালনার সময় ট্যুর গাইডকে ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে নিয়ে যেতে হয় এবং সে স্থানের ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্য বিশদভাবে জানাতে হয়। এই পেশাতে আসতে হলেও ন্যূনতম গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি এবং ইংরেজিতে দক্ষতাসহ অন্য যেকোনো বিদেশি ভাষার উপর দখল থাকা আবশ্যক। সেই সাথে ভৌগলিক জ্ঞানেও পারদর্শী হতে হয়। 

সেলস এক্সিকিউটিভ
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ও প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান উন্নত করতে সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের কাজ হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কোম্পানির প্রয়োজনে কাস্টমারদের সাথে সমন্বয় সাধন করা। এই পেশাতে আসতে হলে একজন ব্যক্তিকে ন্যূন্যতম গ্র্যাজুয়েট হতে হবে এবং শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে সক্ষম হতে হবে।

ক্যারিয়ার গড়ুন গার্মেন্ট ম্যানেজমেন্টে



দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে মানুষের চাহিদা ও রুচির। আর এসব পরিবর্তন যারা করবে এবং যেভাবে করবে তাদেরই সম্পূর্ণ আধুনিক ধারায় হাতে-কলমে বাস্তব প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিজিএমআই)।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট সেক্টর থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। আর এমনই একটি সেক্টরে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বিজিএমআই। অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্যাটার্ন ম্যাকিং, ওয়ার্ক স্টাডি, সোস্যাল কমপ্লায়েন্সসহ কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কোর্সগুলোর ওপর এক বছরমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । ৬ মাসের কোর্স সম্পন্ন করতে ১২ হাজার ৫০০ ও এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে তন্তু থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড়, কাপড়ের রঙ, ছাপা ও ধৌতকরণ, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী রুচিসম্মত পোশাক তৈরি, বায়ার ডিলিংস, কস্টিং কনজামশন ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়। বিজিএমআই প্রফেশনার কোর্সের মাধ্যমে শুধু গার্মেন্ট বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়।

যেমন- ফ্যাশন ডিজাইনে ইন্ট্র–ডাকশন-টু ফ্যাশন, অ্যারিমেন্টস অব ডিজাইন, টেক্সাইল, বডিস অ্যান্ড ভেরিয়েশন্স, প্রোডাক্ট অ্যান্ড আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রোডাকশন টার্মিনলজি, টেক্সাইল টার্মিনলজি, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট, সিস্টেম প্রভৃতি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়। ফ্যাশন ডিজাইনিং ও কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হলে যে কোনো বিষয়ে এইচএসসি/সমমান ও মার্চেন্ডাইজিং এবং এইচআর কোর্সে যে কোনো বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটেড হতে হবে। আগামী ব্যাচের ক্লাস শুরু হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩। যোগাযোগ : বিজিএমআই বাড়ি ৪, রোড ১২, সেক্টর ৬, উত্তরা, ঢাকা। ফোন-০১৯১১৫৬২৬৭৭ , ৮৯২১২৯৫।

হোটেল ম্যাণেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়ুন


ক্যারিয়ার গড়ুন হোটেল ম্যানেজমেন্টে


ছেলেবেলায় কাউকে শিক্ষাজীবনের পর তার জীবনের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করা হলে অনেকেই উত্তর দেয় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক নয়তো পাইলট। কিন্তু আজকাল তরুণরা চান শিক্ষাজীবনেই অর্থ উপার্জন করে আগে থেকেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে। এসব বিবেচনায় বর্তমানে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি। এ পেশায় তরুণরা পাচ্ছেন সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার আর দেশ-বিদেশে চাকরির অফুরন্ত সুযোগ।


ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত নিউটন হোটেল স্কুল দিচ্ছে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে আন্তর্জাকিত মানের প্রশিক্ষণ। এখানে প্রবেশের পর যে কারোরই মনে হবে তিনি একটি ফাইভস্টার হোটেলে এসেছেন। ফাইভস্টার হোটেলের পরিপূর্ণ আবহে এখানে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখানে রয়েছে ফাইভস্টার হোটেলের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, লাক্সারিয়াস ল্যাব এবং ফুলটাইম দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক। এখানকার প্রতিটি প্রশিক্ষণ কক্ষ, প্রাকটিক্যাল ল্যাব, শিক্ষা উপকরণ আন্তর্জাতিক মানের। আর তাই এ সেক্টরে চাকরির ক্ষেত্রে এখানকার শিক্ষার্থীরা থাকছেন এগিয়ে। নিউটন হোটেল স্কুলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক শর্ট সার্টিফিকেট কোর্সের মধ্যে রয়েছে—ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, হাউস কিপিং সার্ভিস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ অপারেশন্স, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন এবং ইংলিশ ফর হোটেলস। 

হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ক্যারিয়ার সম্পর্কে আরও জানালেন কক্সবাজারের ফাইভস্টার মানের হোটেল ওশান প্যারাডাইসের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বিভাগের ডিরেক্টর ও এক্সিকিউটিভ শেফ এটিএম আহমেদ হোসেন। এ সেক্টরে দেশ-বিদেশে ক্যারিয়ারের সুযোগ সম্পর্কে বললেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সম্পদ থাকার কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটন প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের দেশ হয়ে উঠছে খুবই আকর্ষণীয়। বর্তমানে বাংলাদেশে গড়ে উঠছে নতুন নতুন পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট। বিশেষ করে কক্সবাজারেই গড়ে উঠেছে বেশকিছু আধুনিক হোটেল। এ বছরেই আরও কিছু হোটেল সেখানে কার্যক্রম শুরু করবে। এছাড়া ঢাকাতেও চালু হবে ফাইভস্টার মানের বেশ কয়েকটি হোটেল। 

আহমেদ হোসেন আরও জানালেন, ফ্রন্ট অফিস অপারেশন্স, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন এবং হাউস কিপিং বিভাগগুলোই প্রধান। এসব বিভাগে কাজ শুরু করতে চাইলে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি এ সেক্টরে কাজ শুরুর পর নিজেকে কাজে দক্ষ করে তোলার বিষয়ে সচেতন ও ধৈর্যশীল হতে হবে। কাজের বিষয়ে আগ্রহী হতে হবে। তবেই ক্যারিয়ারে দ্রুত উন্নত করা সম্ভব। এ কোর্সে ভর্তি ও নিউটন হোটেল স্কুল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ : খাজা টাওয়ার (৯ম তলা), ৯৫ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, বীর উত্তম একে খন্দকার সড়ক, ঢাকা-১২১২।
ফোন : ০১৯৬২৫৯৫৪৬০।

নিউটন হোটেল স্কুলের ম্যানেজার মার্কেটিং নুরুল হাসান জানালেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশগামী ছাত্রছাত্রীদের যেমন ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য ওঊখঞঝ বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয়, ঠিক তেমনি এ ধরনের হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি সম্পন্ন করাও অনিবার্য। এর মাধ্যমে তারা বাইরে লেখাপড়া করা অবস্থাতেই সম্মানজনক চাকরি ও উপার্জন করতে পারবে। নিউটন হোটেল স্কুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য অন দ্য জব ট্রেইনিং প্রোগ্রাম। নিউটন হোটেল স্কুল বাংলাদেশের একমাত্র সার্টিফাইড অ্যামেরিকান হোটেল অ্যান্ড লজিং অ্যাডুকেশনাল পার্টনার (অঐখঊও)। এর ফলে আপনি বাংলাদেশে বসেই পেতে পারেন আমেরিকান হোটেল ম্যানেজমেন্ট সার্টিফিকেট।

বাটিক শিল্পে ক্যারিয়ার গড়ুন



বাটিক প্রিন্টের নানান কথা
সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। সেকারণেই মানুষ তা সৌন্দর্যবোধের প্রকাশ ঘটায় রং ও নকশার বিভিন্ন ব্যবহারের মাধ্যমে। রঙিন ও প্রিন্টের কাপড় এর অন্যতম। সুদূর অতীতে যখন কাপড় ছাপানোর যন্ত্র ছিল না, তখন মানুষ হাতেই নানাভাবে কাপড় প্রিন্ট করত। যেমন ব্লক, বাটিক, টাইডাই ইত্যাদি। সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ অবধি এসব কাপড় ছাপানোর পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।
কাপড়ের কিছু অংশে নকশা এঁকে তারপর নকশাটি মোম দিয়ে ঢেকে সেটা রঙে ডুবিয়ে যে পদ্ধতিতে কাপড় রং করা হয় তাকে বাটিক প্রিন্ট বলে। এক্ষেত্রে মোম লাগানো অংশে রং ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারে না। ফলে তা অনবদ্য রূপলাভ করে। বাটিক প্রিন্ট শুধু কাপড়েই নয়, চামড়ার ওপরেও করা যায়।
বাটিক ছাপার ইতিহাস ও উত্‍স সম্পর্কে সঠিকভাবে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে ধরে নেয়া হয় যে, প্রাচ্য দেশসমূহ বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাভা, বালি ও তত্‍সংলগ্ন এলাকাগুলোতে প্রথম এই কাজের প্রচলন ঘটে। এমন ধারণার অন্যতম কারণ হলো, বাটিক শব্দটি ইন্দোনেশিয়ান ভাষা থেকে এসেছে। এই শব্দটি বাংলা করলে দাঁড়ায় একটি বিন্দু বা একটি ফোঁটা। বিন্দু বিন্দু মোমের সাহায্যেই ইন্দোনেশিয়ান বাটিক করা হতো।
তবে পুরোনো ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ভারতীয় উপকূল থেকে বাটিকের প্রথম উত্‍পত্তি। তবে এর উত্‍কর্ষ ঘটে ইন্দোনেশিয়া থেকে চীন দেশে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপের কিছু অংশ, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে বাটিকের কাজের প্রচলন দেখা যায়। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই বাটিক ছাপা ব্যাপকভাবে প্রচলিত এবং সর্বত্রই তা সমাদৃত।

বাটিক অতি প্রাচীন একটি শিল্প। এ শিল্প প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো। গ্রীক সভ্যতাতেও বাটিকছাপার কাপড় ব্যবহার হতো বলে নিদর্শন পাওয়া যায়। কেউ কেউ এই মতও প্রদান করেন প্রাচীন মিসরের অধিবাসীরাই এই শিল্পের পথিকৃত্‍। এরপর বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাটিক শিল্প বিস্তার লাভ করেছে। তবে কাজের পদ্ধতিতে একটি দেশের থেকে অপর একটি দেশের কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু মূল বিষয়বস্তু একই থাকে। তবে বাটিকের ক্ষেত্রে ভারতীয় মতটাই অধিক প্রচলিত। ভারতে বাটিক শিল্পের উত্‍পত্তি নিয়ে একটি গল্পও প্রচলিত রয়েছে -
একদিন এক মহিলা পুকুর ঘাটে হরতকী গাছের নিচে তাঁর পরিধানের বস্ত্র খুলে গোসল করতে পুকুরে নামেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, কিছু মৌমাছি তাঁর কাপড়ের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। গোসল শেষে তিনি কাপড়টি পরতে গিয়ে দেখলেন যে, কাপড়ের ওপরে মৌমাছিদের মোমের দাগ। তাই তিনি সেই কাপড়টি পরিষ্কার করার জন্য হরতকী গাছের ঠিক নিচেই পুকুরের পানিতে কাপড়টি ধোয়ার চেষ্টা করলেন। এতে দেখা গেল যে, কাপড়ের যে জায়গাগুলোতে মৌমাছি দ্বারা মোম লেগে গিয়েছিল সেই জায়গাগুলি সাদা রয়ে গেছে এবং বাকি জায়গা হরতকীর রঙে খাকি রং হয়ে গেছে। সাদা অংশগুলোর জন্য কাপড়ে এক ধরনের নকশার সৃষ্টি হয়েছে। বলা হয়ে থাক এ ঘটনার ফলেই ভারতীয় উপকূল অঞ্চল সর্বপ্রথম বাটিক শিল্পের জন্ম হয়।

বাংলাদেশে বাটিক হস্ত ও কারুশিল্প হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। ষাটের দশকে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ শিল্প বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর জনপ্রিয়তা ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত সমান রয়েছে! বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বাটিক শিল্পের যে চাহিদা রয়েছে, তার মূলে রয়েছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনিই ইংরেজ শাসনের শেষ দিকে বাঙালিদের এই শিল্পের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন। শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার পর কবি কায়কোবাদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেন। সেসব দেশের বাটিক শিল্প তাঁকে প্রভাবিত করে। তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর শান্তিনিকেতনে শিল্প ও কলা বিভাগে বাটিক শিল্প অবশ্য পাঠ্য করে দেন।

বাটিকের রং হিসেবে প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক দু ধরনের রংই ব্যবহার করা হয়। নীল, তুঁতে, গাঁদাফুল, শিউলীফুল, পেঁয়াজের খোসা, হরতকী, খয়ের ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান থেকে বিশেষ উপায়ে রং তৈরি করে তা দিয়ে বাটিকের কাজ করা হয়। আগে শুধু সুতি কাপড়েই বাটিক করা হতো, কিন্তু এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, গরদ, তসর, মসলিন, অ্যান্ডিকটন এমনকি খাদি কাপড়েও বাটিক প্রিন্ট করা হয়।
বর্তমানে বাটিক প্রিন্টের কাপড় খুব জনপ্রিয়। বিশেষ করে হাল ফ্যাশনে বাটিক প্রিন্টের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো। বাটিক প্রিন্টের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ-ওড়না, স্কার্ট, ফতুয়া, স্কার্ফ, শার্ট, পাঞ্জাবী ইত্যাদি সবই দেখতে হয় অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ফলে তা আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক হিসেবে সকলের মনে সহজেই স্থান করে নিয়েছে। বাটিকের গজ কাপড়ও পাওয়া যায় বেশ সুলভে। তাই গজ কাপড় কিনে অনেকেই বানিয়ে নেন নিজের পছন্দমতো পোশাক।

বাটিকের শাড়ি যেমন পরতে পারেন প্রতিদিনের প্রয়োজনে, তেমনি পরতে পারেন উত্‍সব-অনুষ্ঠানেও! বিশেষ করে বাটিক প্রিন্টের সিল্কের শাড়ি আপনাকে করে তুলবে অতুলনীয়! সালোয়ার-কামিজ-ওড়নাতে বাটিকের অনবদ্য কাজ পোশাকে এনে দেয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। জিন্স, লেংগিস বা জেংগিসের সাথে অনায়াসে পরতে পারেন বাটিক প্রিন্টের ফতুয়া বা টপস। সাথে থাকতে পারে বাটিক প্রিন্টেরই স্কার্ফ। বাটিক ছাপার স্কার্টের সাথে একরঙা টপস মানিয়ে যায় বেশ।

ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রেও বাটিক প্রিন্টের তুলনা নেই! বিশেষ করে পালা-পবর্ণে বাটিকের পাঞ্জাবী যেন আবশ্যক। বাটিক প্রিন্টের শার্ট ও ফতুয়াও পোশাক হিসেবে তুলনাহীন। বিশেষ করে ক্যাজুয়াল বা সেমি-ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে বাটিক প্রিন্টের হাওয়াই শার্ট বেশ জনপ্রিয়।

কোথায় পাবেন :
ক্রাফট সেন্টারগুলোতে বাটিকের গজ কাপড় বা পোশাক পাবেন। পাবেন ফ্যাশন হাউজগুলোতেও। চরকা, সোর্স, গৃহসুখন, ওয়াইএমসিএ, আরণ্যক, প্রবর্তনাতে রয়েছে বাটিকের গজ কাপড় ও পোশাকের বিপুল সমাহার। এছাড়া গাউসিয়া, চাঁদনীচক, নিউমার্কেটসহ শহরের প্রায় সব মার্কেটেই বাটিক প্রিন্টের গজ কাপড় ও পোশাক পেয়ে যাবেন।

দামদর :
বাটিক প্রিন্টের কাপড়ের দাম নির্ভর করে এর রঙের ওপরে। কাপড়ে প্রাকৃতিক রঙের ব্যবহার হলে এর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়। সালোয়ার-কামিজ (সেলাইবিহীন) পাবেন ৪৫০-২৫০০টাকা, সেলাইসহ ১২০০-৪৫০০ টাকা, ফতুয়া ৪৫০-১৫০০ টাকা, স্কার্ট ২৫০-১২০০ টাকা, ওড়না ৩৫০-১৫০০ টাকা, স্কার্ফ ১৫০-৫৫০ টাকা, পাঞ্জাবী ৬৫০-২০০০ টাকা, শার্ট ৪৫০-১২০০ টাকা। এছাড়া প্রতি গজ কাপড় পাবেন ১১০-৪৫০ টাকার মধ্যে।

সহজে ক্যারিয়ার গড়ুন বাটিক শিল্পে
নিজের পায়ে দাঁড়া হতে, নিজের রোজগারে নিজে চলতে কে না চায়? কিন্তু সবার পক্ষে তো ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু কাজ আছে, যা ঘরে বসেই করা সম্ভব এবং অর্থ আয় করা সম্ভব। এর মধ্যে একটি হলো বাটিক শিল্প। কাপড়ের কিছু অংশে নকশা এঁকে তারপর নকশাটি মোম দিয়ে ঢেকে সেটা রঙে ডুবিয়ে যে পদ্ধতিতে কাপড় রং করা হয় তাকে বাটিক প্রিন্ট বলে। খুব স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে যে কেউ এই শিল্পকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। অন্যান্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে খুব সময়ে বাড়িতে করতে পারেন কাপড়ে বাটিক ছাপার কাজ। যে কেউ এই কাজ করতে পারে। এর জন্য শুধু প্রয়োজন কাজ করার ইচ্ছা এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা।

কাজ শুরুর আগে :
বাংলাদেশে বাটিক হস্ত ও কারুশিল্প হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। ষাটের দশকে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ শিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাটিক শিল্পকে পেশা হিসেবে নেবার আগে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন -

একটি স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিন বাটিক প্রিন্ট সম্পর্কে। এতে আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে বহুগুণ।
বাটিক প্রিন্টের কাপড় ও পোশাকের বাজারদর, কারা এসব বিক্রি করে, ডিলার কারা - এসব ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজখবর করুন।
বাটিক প্রিন্টের বিভিন্ন উপকরণ, রং ইত্যাদি কোথায় ভালো ও উন্নতমানের এবং কম দামে পাওয়া যায় খোঁজখবর নিন। বিক্রেতাদের ফোন নম্বর মনে করে নিয়ে রাখুন যাতে পরে প্রয়োজনে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন।

যাদের কাছে আপনার পণ্য বিক্রিয় করবেন তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। ফ্যাশন হাউজগুলোর সাথে কথা বলুন।
নিজের প্রতিষ্ঠানের একটি নাম ঠিক করে নিন। এবং সেই প্রচার ও বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করুন। প্রতিষ্ঠানের নাম, যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ আপনার কার্ড তৈরি করুন।

প্রশিক্ষণ :

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাটিকের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিয়ে কাজ শুরু করা সম্ভব।

কাজ শুরু:
কাজের শুরুতে প্রথমেই কিনে ফেলতে হবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। বাটিক প্রিন্টের কাজে প্রয়োজন পড়বে চুলা, মোম গলানোর পাত্র, মোম লাগানোর তুলি, ব্রাশ, বালতি, গামলা, জান্টিং, রং, মোম, রজন, ফ্রেম, স্কেল ইত্যাদি। এসব পেয়ে যাবেন যেকোনো হার্ডওয়্যারের দোকানে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা হয়ে গেলে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। প্রথম প্রথম রঙের গন্ধের কারণে কাজ করতে অসুবিধা অনুভব হলেও পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।

মনে রাখুন :
যে কাপড়ে বাটিক করবেন তা যেন অবশ্যই মাড় ছাড়া হয়।
ভুল জায়গায় মোম পড়ে গেলে তার উপরে চোষ কাগজ রেখে গরম ইস্ত্রি ধরুন, বাড়তি মোম উঠে যাবে।
নতুন রং তৈরিতে আগে অল্প কাপড়ে রং করে দেখুন।
কাপড় প্রথমে ছায়ায় শুকিয়ে নিন। পরে মাড় দিয়ে কাপড় রোদে শুকিয়ে ইস্ত্রি করুন।
মনে রাখবেন, ভালো ব্যবহারই ব্যবসার সাফল্যের মূলমন্ত্র। তাই সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

সাংবাদিক বা গনযোগাযোগ কর্মী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ুন



আধুনিক জীবনে ইলেকট্রনিক্স কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ার অনুপস্থিতি আর কল্পনাও করা যায় না। সকলের জীবনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে এই মাধ্যমগুলো। বাংলাদেশের ছুটির কারণে সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ থাকলেও টেলিভিশনের কোনো ছুটি নেই। আর হাল আমলে সেটা দাড়িয়েছে চব্বিশ ঘণ্টার উপস্থিতিতে। এই মিডিয়া যারা টিকিয়ে রেখেছেন তারা হলেন মিডিয়াকর্মী। দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মিডিয়ামুখী হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে দক্ষ একদল মিডিয়াকর্মীর। দেশের জার্নালিজম পেশাকে আরও দক্ষ ও পেশাদার করে গড়ে তোলা এবং মিডিয়ার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ।     সাংবাদিকতা আর দশটা পেশার চেয়ে বেশি সম্মানজনক হওয়ায় এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে মেধাবীরা অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যেকোনো পেশাতেই ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা তথা মিডিয়া যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং তার রূপ ক্রমশ যেভাবে পেশাদারিত্বের দিকে ঝুঁকছে সে তুলনায় পেশাদার কর্মী গড়ার প্রতিষ্ঠান একেবারেই অপ্রতুল। এই অভাবকে পূরণ করার মানসেই গুণগত শিক্ষার নিশ্চয়তার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই উদ্যোগ। আর এ উদ্যোগে সাহসী নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসেন এবং অদ্যাবধি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষাবিদ, ফুলব্রাইট স্কলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গোলাম রহমান। ২০০৭ সালে তার সাথে সহযোদ্ধা হিসাবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের সহযোগী অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস। বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী'র পদচারণায় মুখরিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসটি'র সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ। ইতোমধ্যেই এখান থেকে অনেক শিক্ষার্থী সফলভাবে পাস করে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে কর্মরত রয়েছেন। ৯১৩৮২৩৫, ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১ নম্বরে ফোন করে এই বিভাগ এবং এখানকার পড়ালেখা সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নিতে পারবেন।  এই বিভাগে দেশের প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিভিন্ন সময় আয়োজন করা হয় সাংবাদিকতা বিষয়ক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গোলটেবিল বৈঠক। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানেরও।  এই বিভাগে রয়েছে চার বছর মেয়াদী অনার্স এবং পরবর্তীতে এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স ডিগ্রি। তাছাড়া সাংবাদিকতা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্স। এ সুযোগ বাংলাদেশে শুধুমাত্র এই বিভাগেই রয়েছে। সাংবাদিকতা একটি বাস্তবমুখী পেশা হওয়ায় এ পেশার শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদান পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। তবে বাংলাদেশে এ সুযোগ নিতান্তই অপ্রতুল। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ বিভাগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি বৃহত্ আয়তনের আধুনিক মিডিয়া ল্যাব। ল্যাবটিতে রয়েছে সব ধরনের কারিগরী সরঞ্জাম ব্যবহারের সুবিধা। রয়েছে পাঠাগার, ফিল্ম ক্লাব, অনলাইন পত্রিকা, স্ট্যাডিসার্কেল গ্রুপসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা।     এই বিভাগে জানুয়ারী, মে এবং সেপ্টেম্বর সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। ১০২, শুক্রাবাদ, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানার ক্যাম্পাসে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য পাবেন।

রিয়েল এস্টেট বিষয় এর উপর ক্যারিয়ার গড়ুন,,,



মানুষের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা আবাসনের চাহিদা মেটাতেই রিয়েল এস্টেট সেক্টর কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও রাজধানীসহ সারা দেশেই কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। তবে এ খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলের অভাব এখনও রয়েছে আমাদের দেশে। এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য খুব বেশি সুযোগও তৈরি হয়নি। চাহিদার তুলনায় তাই প্রশিক্ষিত জনবল নেই। এ বিষয়ে বিশেষায়িত ডিগ্রি লাভ করতে পারলে তাই এ সেক্টরে ভালো ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এখানে রয়েছে রিয়েল এস্টেট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের সুযোগ।  ২০০৮ থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র রিয়েল এস্টেট বিভাগ চার বছর মেয়াদি স্নাতক শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট ডিগ্রি কার্যক্রম চালু করেছে। বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রমে সর্বপ্রথম ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেটের মত নতুন একটি বিষয় অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, 'দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা ও আবাসন সংকট মোকাবিলায় বিষয়ভিত্তিক লোকবল সরবরাহের ব্রত নিয়েই এই বিভাগ যাত্রা শুরু করে।   ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হওয়া চার বছর মেয়াদি ও ১২৮ ক্রেডিটের ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট বিষয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পরিচিতি, মূলনীতি, আধুনিক নগরায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, রিয়েল এস্টেটের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক, রিয়েল এস্টেটে বিপনণ ব্যবস্থাপনা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মৌলিক বিষয়, আইন, জিআইএস, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেটের সমসাময়িক ইস্যু, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ও মূল্যায়ন, পরিসংখ্যানসহ সর্বমোট ৪২টি বিষয় পড়ানো হয়। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো জিপিএধারী এবং প্রতি সেমিস্টারে ভালো ফলাফলধারীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ডিআইইউ বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। ৯১৩৮২৩৫, ৯১১৬৭৭৪, ৯১৩৬৬৯৪ নম্বরে ফোন করে এসব কোর্স সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নেওয়া যাবে।  ক্যারিয়ার গড়তে এই বিষয়কে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে বিভাগটির প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'এখানে পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবহারিক সব কাজ করার সুবিধা থাকে। ফলে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা এখান থেকেই তৈরি হয়ে যায়, যা একজন শিক্ষার্থীকে সফল ক্যারিয়ার গড়তে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করে থাকে।'  জানুয়ারি, মে এবং সেপ্টেম্বর সেশনে ভর্তি হওয়া যায় এই বিভাগে।  

ফ্যাশন ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন,,,


পোষাক শিল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে অনেকদিন থেকেই। দেশজুড়ে হাজার হাজার গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ, ফ্যাশন হাউস আর বুটিক হাউস গড়ে ওঠার ফলে এসব খাতে দক্ষ জনবলের চাহিদা রয়েছে।  যেসব পেশার চাহিদা বেশি :পোশাক শিল্পে চাহিদাসম্পন্ন, উচ্চ আয়ের এবং যুগোপযোগী পেশা বায়িং বা গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং প্রভৃতি। আর এসব পেশাদার শ্রেণীর চাহিদা মেটাতে দেশ ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে যেমন দক্ষদের নিয়ে আসা হয়, তেমনি এ দেশের প্রশিক্ষণার্থীরা বাইরে গিয়ে বাইরের দেশের পোশাক শিল্পেও চাকরি করছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন মানসম্মত প্রশিক্ষণ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ালেখা করলে কেবল চাকরি নয়, নিজেই গড়ে তোলা যায় সহযোগী সব প্রতিষ্ঠান।  প্রশিক্ষণ : পোশাক শিল্পে উচ্চ আয়ের চাকরির জন্যে ফ্যাশন টেকনোলজিতে কয়েক ধরনের প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি রয়েছে। রয়েছে ছয় মাস বা এক বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স, অন্যদিকে উচ্চ ডিগ্রির ক্ষেত্রে রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়ার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়গুলোর উপর অনার্স এবং এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং প্রভৃতি ডিগ্রি। এসএসসি, এইচএসসি সম্পন্ন করে যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীরা ফ্যাশন বা গার্মেন্টস টেকনোলজিতে অনার্স এবং স্নাতক পাস করার পর এমবিএ ডিগ্রি নিতে পারে। 
 অন্যান্য ডিগ্রির তুলনায় এসব ডিগ্রিতে খরচ একটু বেশি হলেও খুব অল্প সময়েই অর্জন করা যায় এই ডিগ্রি। আবার শিক্ষা শেষ হওয়ার আগেই খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে। মেধা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ পেয়ে অনেকে নামমাত্র ব্যয়ে এসব কোর্স সম্পন্ন করতে পারে। বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় প্রশাসনসহ সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে পড়তে পারবেন। সাধারণত এ জন্য খরচ হবে প্রতি ক্রেডিট ২,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত।  চাকরির বেতন : সরকারি-বেসরকারি বা দেশি-বিদেশি টেক্সটাইল মিল, বায়িং অফিস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে চাকরি করতে গিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়। তবে কাজের দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার উপর দ্রুত বাড়তে থাকে বেতন। অনেক ক্ষেত্রে ২/৩ বছরের মধ্যেই ৭০-৯৫ হাজার টাকা বেতন হয়ে যায়। সাথে বাড়ে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।  প্রতিষ্ঠানের খবর : হাতে-গোনা কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এসব বিষয় পড়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি। আধুনিক ক্যাম্পাস, দক্ষ ফ্যাকল্টি, উন্নত পরিচালনা পর্ষদসহ সব সুবিধা রয়েছে এনআইএফটিতে। এখানকার শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্যও বেশি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি অনার্স ইন অ্যাপারেল ম্যনুফাকচারিং, বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং বিষয়সমূহে ডিগ্রি অর্জন করা যায় এখানে। 

ক্যারিয়ার গড়ুন পাইলট হিসেবে,,,



ছোটবেলায় পাইলট হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের যোগ না হওয়ায় অধরাই থেকে গেছে স্বপ্ন। বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমী ছাড়াও গ্যালাক্সি ও আরিরাং নিয়মিত পাইলট কোর্স করিয়ে থাকে।
যোগ্যতা যেমন চাই
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস হতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয় দুটি থাকতে হবে। পদার্থ ও গণিতে কমপক্ষে'বিগ্রেড থাকতে হবে। এ ছাড়া ইংরেজি বলা ও লেখায় দক্ষ হতে হবে। যাঁরা স্নাতক শ্রেণীতে পড়ছেন বা পাস করেছেনতাঁরাও পাইলট কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।

সবার আগে ভর্তি পরীক্ষা
পাইলট কোর্সে ভর্তি হতে সবার আগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ পরীক্ষা হয় দুটি ধাপে_মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। মৌখিক পরীক্ষায় সাধারণত বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন করা হয়। এটি সংশ্লিষ্ট একাডেমী নিয়ে থাকে। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় সিভিল এভিয়েশন অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে।
লাগবে গ্রাউন্ড কোর্স
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পাইলট কোর্স করার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। পাইলট হতে পেরোতে হয় তিনটি ধাপ। গ্রাউন্ড কোর্সের পর পেতে হয় এসপি বা স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স। এরপর পিপিএল (প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স)আর সবশেষে পেতে হয় সিপিএল বা কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। তিন মাসের থিওরি কোর্সে বিমানের কারিগরি এবং এয়ার ল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এয়ারক্রাফট জেনারেল নলেজফ্লাইট পারফরম্যান্স অ্যান্ড প্ল্যানিংহিউম্যান পারফরম্যান্স অ্যান্ড লিমিটেশননেভিগেশন,অপারেশনাল প্রসিডিউর এবং প্রিন্সিপল অব ফ্লাইটের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

সময় এবার উড়াল দেওয়ার
গ্রাউন্ড কোর্সের পর সংশ্লিষ্ট একাডেমী লিখিত পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরাসরি বিমান চালনার জন্য সিভিল এভিয়েশনে এসপিএল বা স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। আবেদনের পর সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) পরীক্ষা নেয়। সিএএবির পরীক্ষা এবং সিএমবির (সার্টিফায়েড বাই দ্য মেডিক্যাল বোর্ড) স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল এসপিএল দেওয়া হয়। এ লাইসেন্স দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা বিমান চালনার সার্টিফিকেট অর্জন করে পিপিএল বা প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। এ সময় তিন মাসের থিওরি ক্লাসের সঙ্গে একটি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট (এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া-আসা) চালানোর অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে হয়। এরপর আবারও লিখিত এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মেলে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স। এ লাইসেন্স দিয়ে কোনো বাণিজ্যিক বিমান চালানো যায় না। তাই পাইলট হিসেবে চাকরির জন্য প্রয়োজন সিপিএল বা কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। এ লাইসেন্স পেতে ১৫০ থেকে ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এ ছাড়া উত্তীর্ণ হতে হয় লিখিত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। পাশাপাশি থাকতে হয় একটি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা ও তিন মাসের থিওরি কোর্সের সার্টিফিকেট। সিপিএল পাওয়া মানেই নিশ্চিত চাকরি।
কাজের ক্ষেত্র
বর্তমানে দেশে ও বিদেশে দক্ষ পাইলটের বেশ চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন) এক রিপোর্টে জানা যায়বিমান সংস্থাগুলোর নতুন নতুন রুট চালু এবং পুরনো পাইলটদের অবসরে যাওয়ার ফলে প্রতিবছর ১৭ হাজার নতুন পাইলট প্রয়োজন হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে,আন্তর্জাতিক পরিসরে দক্ষ পাইলটের প্রয়োজন কতটুকু। এটি এমন এক পেশাযেখানে চাকরিই প্রার্থী খোঁজে।

কোর্সের সময় ও খরচ
বৈমানিক কোর্স করতে দেড় থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর লাগে। পিপিএল কোর্স করতে লাগে ছয় মাস। আর সিপিএল কোর্সে সময় লাগে এক বছর। বছরে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও জুলাই-আগস্ট দুটি সেশনে বৈমানিক কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানভেদে বৈমানিক কোর্সের খরচের কিছুটা তারতম্য হয়। সাধারণত পিপিএল ও সিপিএল কোর্স দুটি শেষ করতে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কোর্স ফির বেশির ভাগই খরচ হয় ব্যবহারিক অর্থাৎ ফ্লাইং করতে। সাধারণত প্রতি ঘণ্টা ফ্লাইংয়ের জন্য খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

কেমন আয়
যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি দিন দিন বিমানের সংখ্যা বাড়ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি অনেক বিমান সংস্থায় বৈমানিকদের চাহিদা রয়েছে। এসব এয়ারলাইনসে বৈমানিকদের আকর্ষণীয় বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। বৈমানিকদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টা হিসাবে। একজন সিপিএল লাইসেন্সধারী বৈমানিকের মাসিক আয় প্রায় দুই লাখ টাকা। বিদেশি এয়ারলাইনসে এর পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।

প্রশিক্ষণ নেবেন কোথায়
বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি অ্যান্ড জেনারেল অ্যাভিয়েশন লিমিটেড।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা। ফোন : ৮৯১৩৯০৯, ৮৯১৩৭০৯
বছরে দুটি সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। কোর্সের মেয়াদ তিন বছর। কোর্স ফি ২০ লাখ টাকা। ঠিকানা : বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমী অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশনহযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ভিভিআইপি টার্মিনালের ডানপাশে)উত্তরাঢাকা।

গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমী
বাড়ী-২০, লেক ড্রাইভ রোড, উত্তরা মডেল টাউন, সেক্টর-৭, ঢাকা।
ফোন : ৮৯২১২১৮, ০১৬১১০১২৩১২
www.galaxyflyingacademy.com
বছরে তিনটি সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। কোর্সের মেয়াদ ১৮ মাস। কোর্স ফি ২৮ লাখ টাকা। ঠিকানা : বাড়ি-২০লেক ড্রাইভ রোডসেক্টর-৭উত্তরাঢাকা।

বডেনিস মেধাবী ছাত্র মার্টিন এর গল্প,,,

মার্টিন:-

ডেনমার্কের ইতিহাসে অন্যতম মেধাবী এবং পরিশ্রমী ছাত্র মার্টিন বাং এর বয়স মাত্র ২১ বছর এবং এরই মধ্যে তিনি নতুন রেকর্ড করে বসেছে। ডেনমার্কের সবচেয়ে জনপ্রিয়, কঠিন এবং সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক দুটি প্রোগ্রাম, কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুলের বিএসসি ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইকনমিক্স; এ প্রোগ্রাম দুটিতে একই সাথে ভর্তি হয়ে সপ্তাহে গড়ে মার্টিন ৬০ থেকে ১১০ ঘণ্টা নিরলসভাবে পড়াশোনা করে যাচ্ছে।
বিষয়টা অনেকটা এরকম, কেউ ঢাকা ভার্সিটির ইকনমিক্সে পড়ছে। আবার একই সাথে আইবিএর বিবিএ-তেও পড়ছে। কিন্তু সেটি কি সম্ভব? পৃথিবীর কোথাও সেটি সম্ভব না হলেও সুপার ট্যালেন্ট মার্টিন এ অসম্ভবকে সম্ভব করতে যাচ্ছে।
ডেনমার্কে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম হচ্ছে কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুলের বিএসসি ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং এ দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রেড পাওয়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই এ প্রোগ্রামে ভর্তি হবার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে। সেক্ষেত্রে মার্টিন এমনিতেই দেশ সেরা ছাত্র। কিন্তু ডেনমার্কের সেরা ইউনিভার্সিটি কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইকনমিক্সে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে মার্টিনকে খরচ করতে হচ্ছে নিজের পকেটের টাকা অর্থাৎ ডেনিশ সরকারের শিক্ষা বৃত্তি শুধুমাত্র একটি ডিগ্রী অর্জনের জন্য হলেও দুটি ডিগ্রীর শিক্ষা বৃত্তির আওতাধীন নয়।
মার্টিনের দিন শুরু হয় সকাল ৮টায় কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি দিয়ে এবং শেষ হয় রাত আড়াইটাই স্টুডেন্ট এপার্টমেন্ট ফ্রেডিক্সবর্গে পড়ার বাতি বন্ধ করার মাধ্যমে! আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা মার্টিনের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারেন, বিশেষত অধ্যবসায় ও চেষ্টার মাধ্যমে অসম্ভবকে যে সম্ভব করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ২১ বছরের মার্টিন।

স্টিভ জবস এর অকাল্ত চেষ্টা ও অবশেষে আজকের অ্যাপেল

স্টিভ জবস:-

স্টিভ জবসকে বলা হয় উদ্যোক্তাদের গুরু, যিনি সর্বাধিক বিক্রি হওয়া আইপ্যাড, আইফোন, অ্যাপেল নোটবুক, আইম্যাক ইত্যাদির আবিষ্কারক। তিনি বর্তমান সময়ের সবথেকে প্রভাবিত বিজনেস ম্যান এবং তার সৃষ্টি তাঁকে প্রযুক্তি জগতে চির অমর করে রাখবে।
ব্যর্থতাঃ
আমরা আজকে যেই অ্যাপেল দেখছি, এই অ্যাপেল প্রথম দিকে ঐভাবে সফলতার মুখ দেখতে পারে নি। তিনি অনেকটা হতাশ হয়ে এবং নতুন উদ্ভাবন আসছিলো না বলে টিম ম্যানেজমেন্টের ছেড়ে নেক্সট নামে অন্য কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করেন তিনি। নেক্স্যটও ভালো ফল দিচ্ছিলো না, যেকারনে তিনি আবার তার স্বপ্নের অ্যাপেলে ফিরে আসেন। কঠোর সাধনার ফলে তিনি এটিকে ক্রিয়েটিভ ওয়েতে নিয়ে যেতে সামর্থ্য হন।
অবশেষে আজকের অ্যাপেলঃ
স্টিভ জবস সব সময় চেষ্টা করতেন কীভাবে নতুন আইডিয়া দিয়ে অন্যের চেয়ে নতুনভাবে শুরু করা যায়। যা অন্য মানুষ নতুন জিনিস হিসাবে নিবে। নতুন নতুন সৃষ্টি তৈরি করবে। এভাবে কঠোর সাধনার ফল আজকের এই প্রযুক্তি চমক অ্যাপেল।

বিল গেটস এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

বিল গেটস:-

বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি হওয়ার আগে বিল গেটস ছিলেন একজন ব্যর্থ উদ্যোক্তা। পরবর্তীতে কঠোর পরিশ্রমের ফলে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হন এবং তার বিলাস বহুল বাড়ি Xanadu 2.0 (the ‘Bill Gates House’) যেটা কম্পিউটার এবং সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত, মিউজিক এবং লাইটেরও লক্ষণীয় ব্যবহার আছে বাড়িটিতে।
ব্যর্থতাঃ
প্রথমে ট্রাফ-ও-ডাটা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল বিল গেটসের, যেটা ট্রাফিক কাউন্টার এবং ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট তৈরি করতো। এভাবে এই প্রতিষ্ঠান ট্রাফিককে হেল্প করতো। মূলত ট্রাফ-ও-ডাটা ৮০০৮ নামে এই অ্যাপ যা ট্রাফিক টেপ পড়তে পারতো এবং সেই ডাটা প্রসেস করতো। তারা এই পণ্য বিক্রি করতে শুরু করলো দেশের ভেতর কিন্তু তারা ব্যর্থ হন, কারণ যন্ত্রটা সঠিক ভাবে সবসময় কাজ করতে পারতো না।
অতঃপর সফলতাঃ
বিল গেটসের সহযোগী পল অ্যালেন জানান যদিও ট্রাফ-ও-ডাটা ভালোভাবে কাজ করতো না, তবে এর থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কয়েক বছরের মধ্যে তাঁকে মাইক্রোসফট গড়তে সহায়তা করেছিল। এভাবেই একদিন মাইক্রোসফট বিশ্বের সবথেকে বড় পার্সোনাল কম্পিউটার অপেরেটর হয়ে উঠে।

নিক উডম্যান বি ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট হয়েও ,,পরবর্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেন


নিক উডম্যান :-

নিক ছিলেন পড়াশোনায় একজন বি ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট। তিনি বিলিয়নিয়ার হিসাবে জন্মগ্রহণ করেননি। বর্তমানে তার GoPro ক্যামেরা প্রতিষ্ঠানের আগে তার দুইটা অনলাইন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
ব্যর্থতাঃ
প্রথমে তিনি ইম্পেয়ারওয়ল নামে যে ই-কমার্স সাইট তৈরি করেন, যেখানে তিনি কম মূল্যের ইলেক্ট্রনিকস পণ্য সেল করতেন। কোম্পানি খুব ভালো করতে পারছিল না, ফলে তিনি লছ করছিলেন, যেকারণে তিনি এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তিনি ফানবাগ নামে অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই ওয়েব ছিল গেম নিয়ে কাজ। গেমের মাধ্যমে তিনি বিজনেস করতেন। যারা অংশগ্রহণ করতো তাদের ক্যাশপ্রাইজ দিতেন। এই কোম্পানি ৩.৯ মিলিয়ন অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে। কিন্তু ২০০১ সালে তিনি ব্যর্থ হতেই থাকেন। তিনি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছিলেন না। যেকারনে তিনি এটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। এই বিজনেস থেকে তিনি ৪ মিলিয়ন ডলার লছ খান।

অবশেষে সফলতাঃ
দুইটি কোম্পানিতে লসের কারণে তিনি একটু ক্লান্ত হয়েছিলেন, যেকারনে তিনি রিফ্রেশমেন্টের জন্য দূরে বেড়াতে যান এবং সেখান থেকে ফিরে এই গোপ্রো ক্যামেরা নিয়ে কাজ শুরু করেন। বিশেষ করে যারা ভ্রমন প্রিয় এবং অ্যাথলেট। যদিও তিনি অনেক বার বলেছেন এই সময় তিনি অনেক ঝুঁকিতে থাকতেন এবং তা থেকে তিনি বের হতে চাইতেন। অবশেষে তিনি বিশ্বের সবথেকে কমবয়সী বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেন এবং তার কোম্পানি গোপ্রো ছিল অ্যামেরিকার সবথেকে দ্রুত বেড়ে উঠা কোম্পানি।

বার বার ফেল করেও জ্যাক মা আজ বিশ্বসেরা,,,


জ্যাক মার কাহিনী,,

প্রাইমারিতে দুইবার ফেল, মাধ্যমিকে তিনবার ফেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় তিনবার ফেল, চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ হয়েছি আমি। চীনে যখন কেএফসি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করে৷ এর মধ্যে ২৩ জনের চাকরি হয়৷ শুধুমাত্র একজন বাদ পড়ে, আর সেই ব্যক্তিটি আমি। এমনও দেখা গেছে চাকরির জন্য পাঁচ জন আবেদন করেছে তন্মধ্যে চার জনের চাকরি হয়েছে বাদ.পড়েছি শুধুই আমি। প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে ১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। এতক্ষণ যার কথা বলেছি তিনি হলেন পৃথিবীর অন্যতম বড় অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক মা। তার জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে।
ফোবর্স ম্যাগাজিনের হিসেবে জ্যাক মা পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। জ্যাক মার জীবনে এতবার ব্যার্থ হওয়ার পরও বড় হওয়ার,প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশা থেকে বিন্দু মাত্র পিছপা হন নি। অবিরাম চেষ্টা চিলিয়ে তিনি আজকের অবস্থানে এসেছেন। যেই জ্যাক মা চাকরির জন্য ৩০ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন সেই জ্যাক মার প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে।
জ্যাক মা যখন আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন তখন সবাই তাকে পাগল বলত৷ টাইম মেগাজিনে জ্যাক মা কে পাগল জ্যাক বলে অভিহিত করেছিল।
কিন্তু জ্যাক মা আশাহত হন নি। তিনি চলেছেন আপন গতিতেই৷ তার সেই গতিই তাকে পৌঁছে দিয়েছে সফলতার দ্বার প্রান্তে। তিনি বলেন, যুবকদের সামনে রয়েছে অফুরন্ত সময়৷ আর সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে তারাও হতে পারে পৃথিবী বাসির কাছে অনুসরণীয় ব্যাক্তিত্ব৷ ইচ্ছা করলেই নিজেকে উদাহরণের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। জ্যাক মার একটি বিখ্যাত উক্তি, তিনি বলেছিলেন “আমার মনে হয় পাগল হওয়াই ভাল। আমরা পাগল কিন্তু নির্বোধ নই ”

নিজের প্রতি বিশ্বাস এনে দেয় সফলতা

বিশ্বাস রাখুন নিজের প্রতি – ‘আপনি সফল হবেন’


আপনি জানেন কি, আপনার সম্ভাবনা কতটুকু ? একবার ভাল করে ভেবে দেখুন? আপনার ইচ্ছা আপনার স্বপ্ন আর সম্ভাবনার তুলনা করুন। আপনি কি চান - সেটা ঠিক করুন। লক্ষ্যটাকে স্থির করুন। সফলতা তো আপনারই। আপনার ভিতরেও আছে অপার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাটাকে খুঁজে বের করতে হবে। আর এই খুঁজে বের করার দায়িত্বটা কিন্তু আপনারই। কিভাবে বুঝবেন, আপনার সম্ভাবনা কতটুকু? দেখুন আপনার সমস্যা অনেক। আপনার ভাল একটা লক্ষ্যও আছে। কিন্তু যখন কাজের কথা ভাবেন, তখন সমস্যাগুলো আপনার সামনে এমনভাবে হাজির হয় যে, কাজের চেয়ে বরং অকাজই হয় বেশি। হ্যাঁ, আমি জানি আমার- আপনার অনেক সমস্যা। শুধু সমস্যাই। আমি ভালভাবে কথা বলতে পারি না, আমার চেহারা ভাল না, স্বাস্থ্য ভাল না, আমার বিদ্যা- বুদ্ধির জোরও তেমন নেই। এরকম অনেক কিছুই আমার – আপনার সাথে জড়িত। আমাদের জীবনে অনেক না যুক্ত আছে। এই ‘না’ গুলো হয়তোবা আমাদের পক্ষে জীবন থেকে সরানোও সম্ভব না। তাই বলে তো এই ‘না’ এর দিকে চেয়ে থেকে পুরো জীবন হতাশায় কাটান যায় না।
একবার যদি ভাল করে ভেবে দেখেন, দেখবেন- বাহিরের যত না আছে তার চেয়ে ভিতরের যে ‘না’ টা সেটাই অনেক বেশি শক্ত। একটা কথা আছে – বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়। কথাটা সত্য। মনের ‘না’ টাকে দূর করুন। একবারে না হক, দশবারে তো হবে। দেখুন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে মস্তিস্ক দিয়েছেন, আপনি শুধু সেটার কথাই ভাবুন না কেন? দেখতে পারবেন, আপনার অপার সম্ভাবনা। বুঝতে পারবেন, আল্লাহ আপনাকে কত ক্ষমতাবান করে তৈরি করেছেন। স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, আপাত দৃষ্টিতে যত সমস্যাই দেখেন না কেন, আপনার সম্ভাবনার তুলনায় তা কিছুই নয়। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আমাদের এই মস্তিস্কের কথা সবাই জানেন। তারপরেও মনে করিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি আমিও আমার একটু সম্ভাবনার হিসেব করিয়ে নিই। যাতে আপনার সাথে আমিও আরেকটু আশাবাদী আর সম্ভাবনাময় হয়ে উঠি।
আমাদের মস্তিস্ক কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি গুনে জটিল। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মত ক্ষমতার একটি এটমিক মস্তিস্ক তৈরি করতে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। আরও বিস্ময়কর যে, এই রকম মস্তিস্ক চালাতে প্রায় এক হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এবং কর্ণফুলীর কাপ্তাইয়ের যে উৎপাদন, সে হিসেবে এর মত ৩২৫০ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে প্রতিদিন এটি চালু রাখার জন্য। প্রায় আঠারটি একশতলা দালানের সমান হবে এর আয়তন। মস্তিস্কের সবচেয়ে উপরের সাদা ঢেউ খেলানো কর্টেক্সকে সমান্তরালভাবে সাজালে এর আয়তন হয় প্রায় দুহাজার বর্গমাইল। স্নায়ুতন্ত্রের একক নিউরন। যার কয়েকশত একটি আলপিনের মাথায় একত্রে স্থান করে নিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল মস্তিস্কে বহন করা এবং মস্তিস্ক থেকে বিভিন্ন আদেশ অতি দ্রুত হাজার কোটি সেলে ছড়িয়ে দেওয়াই নিউরনের কাজ। ব্রেইনের এতসব কাজ ঘটতে পারে সেকেন্ডের লক্ষ ভাগের মাত্র একভাগ সময়ে। মানব মস্তিস্কে রয়েছে শক্তিশালী মেমোরি সেল। এই স্মৃতি সংরক্ষণশালা প্রায় প্রতি সেকেন্ডে দশটি নতুন বস্তুকে স্থান করে দিতে পারে। সবচেয়ে আশ্চর্যের –পৃথিবীর সর্বকালের সর্বপ্রকারের যাবতীয় তথ্যকে একত্রে এই সেলে রাখা হলে এর লক্ষ ভাগের এক ভাগও পূরণ হবে না। কি, একেবারে চুপ হয়ে গেলেন যে! চলুন, শুকরিয়া আদায় করি মহান আল্লাহ তা’আলার-‘আলহামদুলিল্লাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা এই মেমোরি সেলের হাজার ভাগের এক ভাগও কাজে লাগাতে পারি না। বিজ্ঞানীরা আরও বলেন- মানব মস্তিস্ক সর্বাধুনিক কম্পিউটারের চেয়েও প্রায় দশ লক্ষ গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। দামের হিসেব করলে একটি কম্পিউটার যদি ৫০,০০০ টাকা হয়, তাহলে আমাদের একেকজনের ব্রেনের দাম দাঁড়াচ্ছে কমপক্ষে ৫,০০০ কোটি টাকা। তার মানে দাঁড়াই, আমরা যারা নিজেরাই নিজেদের অবহেলা করি, অবজ্ঞা করি এবং আমাদের দৃষ্টিতে যারা অনেক মেধাবী অর্থাৎ সবার ক্ষেত্রেই, সবার ঘাড়ের উপরেই একটি পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাহলে এবার ভেবে দেখুন- আপনার সম্ভাবনা কতটুকু? ভাবুন, ভাবুন এবং আরও ভাবুন। শুধু মাত্র এই মস্তিস্কের মূল্যায়নই যথেষ্ট আপনার সম্ভাবনা খুঁজে বের করার জন্য। আল্লাহ আপনাকে - আমাকে সব দিয়েছেন শুধু কাজে লাগাতে হবে আমাদের। তবেই সফলতা ধরা দিবে। গোমড়া মুখটা এবার হাল্কা করুন তো। একটু হাসুন। নিজের শক্তি, সম্ভাবনার সমন্বয়েই সফলতা। এবার কাজে নেমে পড়ুন। যে কোন ভাল কাজ। আপনাকে ঠেকিয়ে রাখার মত মনে হয় না- আর কোন বাঁধা আছে। এবার এগিয়ে যান। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও আপনার সাথে আছেন। ইনশাআল্লহ, আপনি পারবেন।

international live Radio সমূহ,,

Bangla Radio


BBC Bangla Radio

BBC Bangla Radio

London, UK  Details
ABC RADIO

ABC RADIO

Dhaka, Bangladesh  Details
Radio Today

Radio Today

Dhaka, Bangladesh  Details
Radio Tehran Bangla

Radio Tehran Bangla

Tehran, Iran  Details
DW Bangla

DW Bangla

Germany  Details
Dhaka FM

Dhaka FM

Dhaka, Bangladesh  Details
Radio Foorti

Radio Foorti

Dhaka, Bangladesh  Details
Radio Aamar

Radio Aamar

Dhaka, Bangladesh  Details
Bangladesh Betar

Bangladesh Betar

Dhaka, Bangladesh  Details
Peoples Radio

Peoples Radio

Dhaka, Bangladesh  Details
Radio Shadhin

Radio Shadhin

Dhaka, Bangladesh  Details
Radio Vumi

Radio Vumi

Dhaka, Bangladesh  Details
radiotarunno.com

radiotarunno.com

Dhaka, Bangladesh  Details
atnradio24.com

atnradio24.com

Dhaka, Bangladesh  Details
banglaradio24.com

banglaradio24.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radioshadhindesh.com

radioshadhindesh.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiogoongoon.com

radiogoongoon.com

Dhaka, Bangladesh  Details
hellodhaka.net

hellodhaka.net

Dhaka, Bangladesh  Details
radio2fun.com

radio2fun.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiodurbar.com

radiodurbar.com

Dubai, UAE  Details
radiomunna.com

radiomunna.com

Dhaka, Bangladesh  Details
jago.fm

jago.fm

Dhaka, Bangladesh  Details
radiobangla.it

radiobangla.it

Dhaka, Bangladesh  Details
radiosaradin.com

radiosaradin.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radio-dream-24

radio-dream-24

Dhaka, Bangladesh  Details
radiocirclebd.com

radiocirclebd.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiobd24.com

radiobd24.com

Dhaka, Bangladesh  Details
banglawadio.com

banglawadio.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radioadda.net

radioadda.net

Dhaka, Bangladesh  Details
quraneralo.com

quraneralo.com

Dhaka, Bangladesh  Details
edoctorradio.com

edoctorradio.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiohoichoi.com

radiohoichoi.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radionree.com

radionree.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiotolpar.com

radiotolpar.com

Dhaka, Bangladesh  Details

lemon24.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radioboss24.com

radioboss24.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiobornil.com

radiobornil.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radioullash.com

radioullash.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiomelodybd.com

radiomelodybd.com

Dhaka, Bangladesh  Details
radiodhaka.net

radiodhaka.net

Dhaka, Bangladesh  Details
radiouttal.com

radiouttal.com

Khulna, Bangladesh  Details
radiovasha.com

radiovasha.com


Dhaka, Bangladesh  Details