সাংবাদিক বা গনযোগাযোগ কর্মী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ুন
আধুনিক জীবনে ইলেকট্রনিক্স কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ার অনুপস্থিতি আর কল্পনাও করা যায় না। সকলের জীবনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে এই মাধ্যমগুলো। বাংলাদেশের ছুটির কারণে সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ থাকলেও টেলিভিশনের কোনো ছুটি নেই। আর হাল আমলে সেটা দাড়িয়েছে চব্বিশ ঘণ্টার উপস্থিতিতে। এই মিডিয়া যারা টিকিয়ে রেখেছেন তারা হলেন মিডিয়াকর্মী। দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মিডিয়ামুখী হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে দক্ষ একদল মিডিয়াকর্মীর। দেশের জার্নালিজম পেশাকে আরও দক্ষ ও পেশাদার করে গড়ে তোলা এবং মিডিয়ার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ। সাংবাদিকতা আর দশটা পেশার চেয়ে বেশি সম্মানজনক হওয়ায় এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে মেধাবীরা অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যেকোনো পেশাতেই ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা তথা মিডিয়া যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং তার রূপ ক্রমশ যেভাবে পেশাদারিত্বের দিকে ঝুঁকছে সে তুলনায় পেশাদার কর্মী গড়ার প্রতিষ্ঠান একেবারেই অপ্রতুল। এই অভাবকে পূরণ করার মানসেই গুণগত শিক্ষার নিশ্চয়তার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই উদ্যোগ। আর এ উদ্যোগে সাহসী নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসেন এবং অদ্যাবধি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষাবিদ, ফুলব্রাইট স্কলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গোলাম রহমান। ২০০৭ সালে তার সাথে সহযোদ্ধা হিসাবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের সহযোগী অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস। বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী'র পদচারণায় মুখরিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসটি'র সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ। ইতোমধ্যেই এখান থেকে অনেক শিক্ষার্থী সফলভাবে পাস করে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে কর্মরত রয়েছেন। ৯১৩৮২৩৫, ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১ নম্বরে ফোন করে এই বিভাগ এবং এখানকার পড়ালেখা সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নিতে পারবেন। এই বিভাগে দেশের প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিভিন্ন সময় আয়োজন করা হয় সাংবাদিকতা বিষয়ক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গোলটেবিল বৈঠক। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানেরও। এই বিভাগে রয়েছে চার বছর মেয়াদী অনার্স এবং পরবর্তীতে এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স ডিগ্রি। তাছাড়া সাংবাদিকতা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্স। এ সুযোগ বাংলাদেশে শুধুমাত্র এই বিভাগেই রয়েছে। সাংবাদিকতা একটি বাস্তবমুখী পেশা হওয়ায় এ পেশার শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদান পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। তবে বাংলাদেশে এ সুযোগ নিতান্তই অপ্রতুল। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ বিভাগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি বৃহত্ আয়তনের আধুনিক মিডিয়া ল্যাব। ল্যাবটিতে রয়েছে সব ধরনের কারিগরী সরঞ্জাম ব্যবহারের সুবিধা। রয়েছে পাঠাগার, ফিল্ম ক্লাব, অনলাইন পত্রিকা, স্ট্যাডিসার্কেল গ্রুপসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা। এই বিভাগে জানুয়ারী, মে এবং সেপ্টেম্বর সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। ১০২, শুক্রাবাদ, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানার ক্যাম্পাসে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য পাবেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment