ডায়াবেটিস কি ? কেন হয় ! এর হাত থেকে কিভাবে নিজেকে বাচাঁবেন জেনে নিন,,

ডায়াবেটিস হলো ঘাতক ব্যাধি রক্তের মধুমেহ
সমস্যা বা রক্তে গল্গুকোজ বেশি। আমাদের শরীরের
প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি একটি অঙ্গ
অগ্ন্যাশয় (প্যানক্রিয়াস), যার কাজ ইনসুলিন উৎপাদন
করে রক্তে সরবরাহ করা।

কোনো কারণে যদি অগ্ন্যাশয়ে বাধা সৃষ্টি হয় তখন
ইনসুলিন উৎপাদন কমে গিয়ে সরবরাহ কমে যায়। তখনই
রক্তে গল্গুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই
গল্গুকোজ বেড়ে যাওয়াকে ডায়াবেটিস বলা হয়।
সাধারণত এই রোগ তাদের মধ্যে থাকে যাদের বংশগত
এই রোগের প্রবণতা আছে অথবা যারা শ্রমবিমুখ,
অথবা যারা খুবই কম কায়িক পরিশ্রম করেন এবং যাদের
তলপেটে যথেষ্ট স্টম্ফীতি দেখা দিয়েছে।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ

বারবার প্রস্রাব করা, অস্বাভাবিক মাত্রায় তৃষ্ণা ও
ক্ষুধা, অল্প পরিশ্রমেই বেশি ক্লান্তি, দৈহিক ওজন
হ্রাস, স্থূলাকৃতি চেহারা, ক্ষতস্থান
দেরিতে শুকানো ,পায়ে অসাড় অনুভূতি বা ধরে যাওয়া,
দৃষ্টিশক্তি আবছা হওয়া, চামড়ায়
শুষ্কতা বা চুলকানি ভাব আসা ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা যেভাবে করা হয়
এমনিতে এই রোগের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই।
কিন্তু জীবনশৈলীতে পরিবর্তন, শিক্ষা এবং খাওয়া-
দাওয়ার অভ্যাসে উন্নতি দ্বারা এ

রোগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। রোগ
যদি খুব বেড়ে যায়,

তাহলে অ্যালোপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ, ইনসুলিন
চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১০-১৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগ
আয়ত্তে আনতে সহযোগী বা কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত
ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়, যখন রোগীর দেহে অতিরিক্ত
ইনসুলিন প্রয়োজন হয় রক্তে শর্করার স্তরকে নিয়ন্ত্রিত
করতে। এভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়বেটিস
রোগকে আয়ত্তে আনা যায়।
তার পরেও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রণে থাকার কারণ
হলো_ স্বাস্থ্যের প্রতি বেপরোয়া ভাব এবং অশিক্ষা।
অনেক ডায়াবেটিস রোগী এর কারণ এবং উন্নতির উপায়
পর্যন্ত জানেন না।

ডায়াবেটিসের বিকল্প পদ্ধতির হলিস্টিক চিকিৎসা
হলিস্টিক চিকিৎসায় একজন রোগীকে দৌড়বিদদের
মতো দৌড়াতে বলি না বা মুঠো মুঠো ওষুধ সেবন
করতে বলি না। এই চিকিৎসায় রোগী নিজেই কিন্তু
নিজের চিকিৎসক, আমরা নিমিত্ত মাত্র। আমরা কেবল
রোগীকে তার সুস্থ হওয়ার পথের সন্ধান দিয়ে থাকি। এই
চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি দুটি। স্বাস্থ্যসম্মত
খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম। খাদ্যের একটি চার্ট
আমরা প্রস্তুত করেছি বিজ্ঞানসম্মতভাবে।
সেটা অনুসরণ করতেই হবে। রোগীর বয়স এবং রোগের ধরন
এবং তার বর্তমান অবস্থার ওপরই নির্ভর করে তার
প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণ। পুষ্টিকর ও পরিমিত আহার
তাকে ফিট রাখে। আর ব্যায়ামের ব্যাপারটি বিবিধ।
তার আগে মন নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই সঠিক
উপায়ে মেডিটেশন। মানসিক চাপই মানুষের অসুখ ও
অশান্তির মূল কারণ। আমরা মানসিক চাপ কমানোর
কথা বলি। মহাজাগতিক

শক্তি থেকে জ্যোতি বা প্রাণরস আহরণের কথাও বলি।
তার জন্য নিয়মিত সময় দিতে হয়। চর্চা করতে হয় সঠিক
নিয়ম মেনে। যার মধ্যে রয়েছে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম
এবং রাজযোগ মেডিটেশন ও নিউরোবিক জিম।
হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার গত কয়েক বছর
ধরে দেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মন ও শরীর চর্চার
মাধ্যমে স্বল্প ওষুধে ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ
নিরাময়ে সাফল্যের সঙ্গে অবদান রেখে চলেছে।
নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন, চিকিৎসা নিন, সুস্থ
থাকুন।

No comments:

Post a Comment