খাবার খান💝
লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কম পরিমাণে এবং শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং শস্যদানা বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রেণে রাখবে না পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর হঠাৎ বিপদের হাত থেকে দূরে থাকা যাবে।
এ সম্পর্কে ডক্টর সিমন্স বলেন “সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে শরীর সারাদিন স্থিতিশীল থাকবে। ফলে একেক সময় একেক রকম বোধ করবেন না এবং কখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেন না।”
তাছাড়া হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ বহুমুত্র রোগ থেকে দূরে রাখে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
ক্যাফেইন নেওয়া
কমিয়ে দিন
ক্যাফেইন খুব দ্রুত আপনার ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে তুলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা তখনই ভালো যদি আপনি কোনও হিংস্র বাঘের মুখে পড়েন।
তবে সামান্য কারণ যেমন ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ার ফলে যদি এমন হয় তবে তা চিন্তার কারণ বৈকি। মানসিক চাপ বাড়ানোর হরমোনের নিঃসরণের ফলে শরীরব্যথা শুরু হয়।
তাই ঘন ঘন চা-কফি খাওয়ার অভ্যেস ছাড়ুন। কেননা এসবে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।
এমনকি জিরো-ক্যালরি বা চিনিহীন বলে বাজারজাত করা কোমল পানীয় থেকেও নিজেকে দূরে রাখুন কেননা গবেষনায় দেখা গিয়েছে, এ ধরনের কোমল পানীয় পান করলে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।
বর্তমানে মানুষদের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সুস্থ থাকতে হলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। এক্ষেত্রে সময়ের চেয়ে কতটা নিশ্চিন্তে ঘুমোনো গেলো তা বেশি গুরুত্বপূর্ন।
‘Sleep apnea’ এমন একটি অবস্থা যার ফলে ব্যক্তি নিঃশ্বাসে অসুবিধার কারণে ঘুম থেকে পর্যায়ক্রমে জেগে ওঠে। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যে ব্যক্তি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারেন তার ঘুমচক্র স্বাভাবিকভাবে পূর্ণ হয় না। আর রাতের বেলা স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কম থাকে এবং শরীরে হরমোন কম উৎপন্ন হয়। যা থেকে হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
3👉বেশি করে
রোগমুক্ত থাকতে চান? তাহলে নিয়মিত হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা কিংবা নাচের অভ্যাস করুন। এসব কর্মকাণ্ড শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে এবং ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে। কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
একের পর এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে, বাগান করার মতো কাজের মাধ্যমেও অনেক সুফল পাওয়া যায়। কারণ তা হৃদপিণ্ডকে সক্রিয় রাখে এবং রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের মতে দৈনিক বা সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন অন্তত ৩০ মিনিট এ ধরনের পরিশ্রম করা উচিত। তবে কোন ব্যায়াম দিয়ে শুরু করবেন তা ঠিক করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment