মুসলীম আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বন্টন করা হয় যেভাবে,,,

অংশীদারগণ (Sharers): যে ওয়ারিশেরা মিরাস যোগ্য সম্পত্তি পাওয়ার অধিকারী তারাই অংশীদার। তাদের তালিকা এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তাদের স্ব স্ব পরিমাণ অংশ কুরআনে আল্লাহপাক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এ জন্য এদেরকে জুল কুরআন বা কুরানী ওয়ারিশ বলা হয়। মূলত কোরআনের নির্দেশ, হাদিসের ব্যাখ্যায় এবং ইজমার সমর্থনে তাদের অংশ নির্ধারিত হয়েছে।

অন্য সবার উপর তাদের অবস্থান হলেও তারা কোন সুবিধাভোগী শ্রেণী নয়; কারণ তারা খুবই ছোট বা সামান্য অংশ পেয়ে থাকেন। এই অংশীদারদের সংখ্যা ১২ জন; এরা বিবাহ সিদ্ব জাত এবং রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়। তার মধ্যে চারজন পুরুষ এবং আটজন মহিলা। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে অন্য সব উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অগ্রাধিকার পান এবং তাদের অংশ রেখে পরে অন্যান্যদেরকে সম্পত্তি প্রদান করা হয়।

পুরুষ চার জন হলো:

১) পিতা ২) দাদা বা তদুর্ধ ৩) স্বামী ৪) বৈপিত্রেয় ভাই

মহিলা আটজন হলো:

১) স্ত্রী ২) মাতা ৩) কন্যা ৪) সহোদরা বোন ৫) বৈমাত্রেয়া বোন ৬) বৈপিত্রেয়া বোন ৭) কন্যা ও ৮) দাদী তাদের মধ্যে পিতা, স্বামী, মাতা, কন্যা ও স্ত্রী এই পাঁচজন কখনো উত্তরাধিকার থেকে কখনো বঞ্চিত হয়না। তাই তাদেরকে প্রতক্ষ্য অংশীদার বলা হয় এবং বাকীদেরকে পরোক্ষ অংশীদার বলা হয়। কারণ তারা কোন কোন ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হয়।

অবশিষ্টাংশ ভোগীগণ (Residuaries): মৃত ব্যক্তির যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এবং যারা অংশীদারদের নির্দিষ্ট অংশ নেবার পর কোন সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে তা অথবা কোন অংশীদার না থাকলে সমস্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন সমস্ত নিকটবর্তী আত্নীয়রা তালিকায় উল্লেখিত ক্রমানুসারে লাভ করে থাকে। মৃত ব্যক্তির এ সকল নিকটত্নীয়দেরকে অবশিষ্টাংশভোগী বলা হয়। এই অবশিষ্টংশ ভোগীদের কোন নির্দিষ্ট অংশ নাই। অংশীদারদের দেওয়ার পরেই কেবল অবশিষ্ট সম্পত্তি তারা পাবেন, কিন্তু এই অবশিষ্টাংশের পরিমাণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যদি কোন অংশীদার না থাকেন, তবে সমস্ত সম্পত্তিই আসাবা বা অংশীদারগণ পাবেন। এ সকল আসাবা বা অবশিষ্টাংশ ভোগীগণকে এগনেটিক ওয়ারিশ ও বলা হয়। কারণ এরা পুরুষ আত্নীয়ের মাধ্যমেই ওয়ারিশ হয়ে থাকে।

No comments:

Post a Comment